মাভাবিপ্রবিতে ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’ চালু
- ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১:২০
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পর্দাশীল আসনব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী নার্স সাহাবী রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা.)- এর নামানুসারে কর্নারটির নাম রাখা হয়েছে ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্নার’।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়ায় পর্দাশীল আসনব্যবস্থার দাবি নিয়ে ‘মাভাবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়ায় পর্দা কর্নারের দাবি ছাত্রীদের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এই কাঙ্ক্ষিত কর্নারটি চালুর মাধ্যমে পর্দাশীল নারী শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
নারী শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তারা এমন একটি কর্ণারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জানুয়ারিতে এস্টেট পরিচালকের কাছে প্রথম আবেদন করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ না পাওয়ায়, তারা পুনরায় ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ ও শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীমের কাছে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, অ্যাকাডেমিক ব্যস্ততার কারণে হলে বা মেসে খাওয়ার সুযোগ না থাকায় ক্যাফেটেরিয়াই তাদের প্রধান ভরসা। কিন্তু পর্দা ব্যবস্থা না থাকায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে খাবার খেতে পারছিলেন না, যা মৌলিক অধিকারে বাঁধা সৃষ্টি করছে। অবশেষে গত সপ্তাহে প্রশাসনের উদ্যোগে কাঙ্ক্ষিত কর্নারটি চালু করা হয়।
পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করীম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রাখার চেষ্টা করে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পর্দা কর্নার স্থাপন করেছে।’
কর্ণারের নামকরণ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা জানান, রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নার্স। মদিনায় তিনি সাহাবিদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন এবং নারীদের চিকিৎসাশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। নারী অংশগ্রহণ ও সম্মানের প্রতীক হিসেবেই এই কর্ণারের নামকরণ তার নামে করা হয়েছে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বিউটি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি পর্দাশীল কর্ণারের অপেক্ষায় ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন আমরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ও নিশ্চিন্তে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে খেতে পারব। এজন্য উপাচার্য স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগকে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দাবি বাস্তবায়ন হিসেবে অভিহিত করে ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।