চাকরির অভিজ্ঞতা নেই, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটের সিভিতেও যেভাবে অভিজ্ঞতা যোগ হতে পারে

সিভি
সিভি © সংগৃহীত

বর্তমান চাকরির বাজারে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা। অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি পাওয়া সত্যি চ্যালেঞ্জিং। ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য এই চ্যালেঞ্জ দ্বিগুণ হতে পারে, তবে এটি কোনো বড় বাধা নয়। ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা যদি তাদের সিভি শক্তিশালী করতে পারে তাহলে কোনো প্রকার চাকরির অভিজ্ঞতা ছাড়াই ভালো মানের চাকরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। সিভিতে নিচের ১০টি অভিজ্ঞতা যোগ করতে পারলে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পাওয়া কঠিন কিছু নয়।

ইন্টার্নশিপ
অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রথম কার্যকরী উপায় হলো ইন্টার্নশিপ। এটি প্রফেশনাল স্কিলস এবং কাজের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে সাহায্য করে। ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটের জন্য ইন্টার্নশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ভালো নেটওয়ার্কিং তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। 

পার্টটাইম 
অভিজ্ঞতা অর্জনের আরও একটি ভালো উপায় পার্টটাইম কাজ। একদিকে এটি যেমন আয়ের সুযোগ তৈরি করে তেমনি চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে সাহায্য করে।

ভলোন্টারি এক্সপেরিয়েন্স
স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এটির মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি হয়, যা কোনও চাকরিতে বড় অভিজ্ঞতা হিসেবে সহায়ক হতে পারে।

এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস
স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ইত্যাদি সিভিতে যোগ করলে দলবদ্ধ কাজের দক্ষতা দেখাতে করতে সাহায্য করে।

কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস
এই ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটকে নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি সময় ব্যবস্থাপনা ও দলবদ্ধ কাজের অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটায়।

সিএসআর অ্যাক্টিভিটিস
কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। এই কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ একজন প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানের খারাপ পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা প্রদান করে।

ট্রেনিং
বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট সিভিতে তার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। 

প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন
যেকোনো প্রফেশনাল কোর্স বা কোয়ালিফিকেশন অর্জন করা ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য একটি বড় সুবিধা। এগুলো সিভি ও কভার লেটারকে আরো শক্তিশালী করে।

অ্যাওয়ার্ডস এন্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন
যেকোনো ধরনের পুরস্কার বা প্রশংসা সিভিতে যোগ করা যেতে পারে। এটি কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতার প্রমাণও বটে, যা চাকরি পেতে সাহায্য করে। 

মেম্বারশিপ
যেকোনো প্রফেশনাল বা শিক্ষামূলক সংগঠনের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ দক্ষতা এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ তৈরি হয়। এ ধরণের কোনো কিছু থাকলে সেটি অবশ্যই সিভিতে যোগ করা প্রয়োজন। 

উপরের উল্লিখিত ১০টি কার্যক্রম যদি আপনার রেজুমে যোগ করতে পারেন তাহলে প্রতিযোগিতামূলক এই চাকরির বাজারে সফল আপনি হতে পারেন। কোনো প্রকার চাকরির অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে এসব কর্মকাণ্ড যদি আপনার থাকে।