যবিপ্রবিতে মাস্টার্স পর্যায়ে রিসার্চ ফেলোশিপ চালু
- ২০ আগস্ট ২০২৫, ০০:১০
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) থিসিসসহ মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীদের ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি মাসে একজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার হাজার টাকা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণায় আরও উদ্বুদ্ধ করতে এবং যবিপ্রবিকে একটি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপ দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, যারা দেড় বছরের মাস্টার্সে (থিসিসসহ) অংশগ্রহন করবেন, তারা ১২ মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ফেলোশিপ পাবেন। এছাড়া যারা ২ বছরের মাস্টার্স কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন, তারা ১৮ মাস পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ফেলোশিপ পাবেন। তবে ১.৫ বছর ২ বছরের মাস্টার্সে ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে কমপক্ষে একটি প্রকাশনা প্রকাশের শর্ত রয়েছে।
যবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির সভাপতি ও কেমিকৌশল বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স কম হওয়া সত্বেও এতো অল্প সময়ে গবেষণায় আমরা সারাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে পাল্লা দিচ্ছি। যবিপ্রবি কতৃপক্ষ নতুন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, মাস্টার্সে থিসিস করা শিক্ষার্থীদের ফেলোশিপ দেবে, এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষার্থী টিউশন করে মাসের খরচ যোগান, সেক্ষেত্রে টিউশন করা, অ্যাকাডেমিক পড়ালেখায় সময় দেওয়া, সাথে গবেষণায় সময় দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের ফেলোশিপের উদ্যোগ আমাদেরকে গবেষণায় আরও উৎসাহিত করবে। আমরা এ ফান্ড পেয়ে আরও আগ্রহের সাথে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারব। সব সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, 'গবেষণাকে এগিয়ে নিতে এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় মনোযোগী করতে এ ফেলোশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু ডিগ্রি নিয়েই থেমে না থেকে বাস্তবভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করুক। এ উদ্যোগ যবিপ্রবিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে সহায়ক হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভার মনে গবেষণায় সময় দিতে পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময়ই তাদের পাশে থাকবে।'