খালেদা জিয়ার জন্ম, সাঈদীর জানাজা, শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডসহ ৫ ঘটনার ১৫ আগস্ট
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩১
১. এই দিনটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ও আপসহীনতা দিয়ে বিরোধী রাজনীতির প্রতীক হয়ে ওঠেন। বারবার কারাবাস, গৃহবন্দিত্ব ও ক্ষমতাসীনদের জুলুমের মুখেও তিনি নতি স্বীকার করেননি।
২. আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজার দিন, যিনি দেশের লক্ষ মানুষের কাছে সর্বজনগ্রহণযোগ্য আলেম, অথচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন। তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা ছিলো বিতর্কিত, ‘স্কাইপ কেলেংকারী’ ফাঁসে বিচারকের গোপন কথোপকথন প্রকাশ এবং সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর রহস্যজনক গুম হয়ে যাওয়া, এই বিচারের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। তাঁর মৃত্যু শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক নীরব অভিযোগ।
৩. বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর তার শাসনামলে দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনে দেশ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পতিত হয়। তিনি জনগণের কাছে জবাবদিহির পথ না বেছে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রকে একদলীয় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গিয়েছিলেন। এর পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। ১৯৭৫ সালের ভোরে সপরিবারে তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড। এটি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত ক্ষমতার পরিবর্তন।
৪. আরও আগে, ১৯৬৯ সালে ছাত্রসংঘের নেতা আব্দুল মালেক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা বিতর্ক ও আলাপ-আলোচনার মধ্যে টিএসসিতে বক্তৃতা প্রদান করেন এবং সেখানে তিনি শিক্ষায় মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের গুরুত্বকে তুলে ধরেন। তাঁর সাহসী বক্তব্য তখনকার প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এরপরই তিনি জঘন্য রাজনৈতিক হামলায় প্রাণ হারান। যার কোন বিচার আজও হয়নি।
৫. ভারতের স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংঘাত, সীমান্তে হত্যা এবং অর্থনৈতিক চাপের ক্ষেত্রে ভারতের হস্তক্ষেপ স্পষ্ট। হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থায়ও নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে গেছে। প্রতিবেশী হিসেবে তার নীতি প্রায়শই আধিপত্যবাদী, ফলে সর্বত্রই বন্ধু হারিয়েছে।
লেখক: আহবায়ক, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)