অনাহারে-অর্ধাহারে প্রবাসে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ ফেরেনি দেশে

অনাহারে প্রবাসীর মৃত্যু
অনাহারে প্রবাসীর মৃত্যু © টিডিসি ফটো

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের রসুলপুর বালুপাড়ার দিনমজুর পরিবারের স্নেহধন্য ছোট ছেলে সাফিউল ইসলাম (২৪) পরিবারের দুঃখ ঘোচানোর স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় চাকরি মেলেনি, শুরু হয় অভাব-অনাহারের জীবন। দীর্ঘ ১৫ মাসের কষ্টে শেষে মৃত্যু হয় প্রবাসে। মৃত্যুর অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও মরদেহ দেশে ফেরেনি, শোকে স্তব্ধ পরিবার।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ এবং স্থানীয়ভাবে আরও ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব যান সাফিউল। সেখানে গিয়ে চাকরি না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। অর্থের অভাবে কখনো মসজিদে খাবার চাইতেন, কখনো রাস্তায় বা ফ্লাইওভারের নিচে রাত কাটাতেন। এভাবেই অনাহারে-অর্ধাহারে কাটে তার দিন। অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসা পাননি। শেষমেশ গত ২৮ জুলাই সৌদি আরবের এক হাসপাতালের গেটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রক্টরের হুমকিতে জ্ঞান হারালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই গ্রামের প্রবাস ফেরত এক ব্যক্তির (স্থানীয়ভাবে ‘মিস্টার’ নামে পরিচিত) মাধ্যমে সাফিউল ও রনি নামে আরও এক যুবক সৌদি যান। তবে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় দু’জনই কাজ পাননি। সাফিউল মারা গেলেও রনি এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে ওই দালাল গা ঢাকা দিয়েছেন এবং কোনো ধরনের সহায়তাও করছেন না।

গাইবান্ধা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নেশারুল হক জানান, পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে মরদেহ দেশে আনতে সরকারি সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।