জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই ২৪-এর অভ্যুত্থান
- ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০১
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ এবার স্থান পেতে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষার স্তরের পাঠ্যবইয়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ের বইয়ে এই ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ের বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ পর্যন্ত আন্দোলনের একটি অধ্যায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই অধ্যায়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন নামের একটি পাঠ রয়েছে বইয়ে।
এদিকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে সিলেবাসে নতুন তথ্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও ডিন ড. এ এইচ রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের বিষয়টিকে নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশের ইতিহাস করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিকৃত ইতিহাস বাদ দিয়ে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১ম ও ২য় বর্ষে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করেছি বাকিগুলো প্রণয়ন করার কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিতিতে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড, আপত্তি প্রশাসনের
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত এ অভ্যুত্থানকে বিশ্লেষকরা নতুন প্রজন্মের ‘প্রতিবাদ রাজনীতির’ এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে দেখছেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা এ গণআন্দোলন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, টিএসসি, নীলক্ষেত এবং প্রেস ক্লাব এলাকা হয়ে ওঠে বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি, রাজনৈতিক নিপীড়ন, শিক্ষা খাতে বৈষম্য এবং নাগরিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে।
আন্দোলনটি এক পর্যায়ে গণজাগরণে রূপ নেয় এবং তৎকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে লক্ষাধিক মানুষ রাজপথে জড়ো হয়। অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে এই অভ্যুত্থান চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।