ফের পরিবর্তন তিস্তা সেতুর উদ্বোধন, নতুন তারিখ নির্ধারণ
- ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫৬
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প হরিপুর-চিলমারী তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর উদ্বোধন আবারও পিছিয়েছে। এবার বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সেতুটি উদ্বোধনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২ আগস্ট ও ২৫ আগস্ট তারিখে উদ্বোধনের কথা থাকলেও বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজের অগ্রগতি বিবেচনায় তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামীম বেপারী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নতুন তারিখটি জানানো হয়েছে। গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানিয়েছেন, সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ২০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
প্রায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মিত অন্যতম বৃহৎ সেতু। এটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারীকে সংযুক্ত করবে, যা দুই জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবে। সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করেছে।
সেতুটিতে ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে, যা রং ও লাইটিংসহ নয়নাভিরামভাবে সজ্জিত। ইতোমধ্যেই সেতুর সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই উৎসুক মানুষের ভিড় জমছে তিস্তা পাড়ে। স্থানীয়দের মতে, এই সেতু শুধু যোগাযোগই সহজ করবে না, নদীভাঙন রোধ করে এলাকার অবকাঠামো রক্ষায়ও ভূমিকা রাখবে।
সেতুটির উভয় পাশে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার স্থায়ী নদী শাসন এবং ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এটি চালু হলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী থেকে ঢাকায় যাতায়াতের সময় প্রায় ৪ ঘণ্টা কমবে। এছাড়া গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের মধ্যে দূরত্বও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা হলেও প্রকৃত কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আগামী ২০ আগস্ট জনগণের জন্য উন্মুক্ত হবে এই কাঙ্ক্ষিত সেতু।