ছাত্রলীগের সিজার ডাকসুতে ভিপি পদপ্রার্থী, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে তিনি হল সংসদে জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন জুলিয়াস সিজার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ভিসি ভবনের সামনে কিছু শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।

এসময় শিক্ষার্থীরা জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাসমুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি তোলেন।

এর আগে মনোনয়ন ফরম জমা পরে ফেসবুকের এক পোস্টে জুলিয়াস সিজার তালুকদার সবার দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন চেয়েছেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী। সবার দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন চাই।

এদিকে, ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে হল সংসদের জয়ী হওয়া এ নেতা বর্তমানে ডাকসুতে নির্বাচন করা নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বলছে, ওই নির্বাচনের পর হলের ছাত্র ফরিদ হাসানকে মেরে রক্তাক্ত করার ঘটনায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ওই হলে প্রতিবাদ করতে গেলে সিজারের অনুসারীরা ডিম নিক্ষেপ ও মারধর করেছিল। এছাড়াও সিজার ছাত্রলীগের নিপীড়নের সঙ্গেও বিভিন্ন সময় জড়িত ছিলেন। তবে তার দাবি, ২০১৯ সালের পর তিনি আর ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠা করেন পরে। তবে ২০১৭ সালে তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের একটি পদে ছিলেন।

জানতে চাইলে ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী সিজার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। যেটা সবাই জানেন। তবে এরপর নুরদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল সেখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টরা নেই। আমার অনুসারীও জড়িত ছিল না।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থানায় মামলা-অভিযোগপত্রে আমার কোনো নাম নেই। এমনকি তৎকালীন ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনবার তদন্ত কমিটি আমাকে ডেকেছিল। কিন্তু আমার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। এখন অনেকে সমালোচনা করে বলেন, আমি প্রত্যক্ষ নয় পরোক্ষভাবে এই ঘটনায় জড়িত ছিলাম।

ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের পর আমি আর ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নেই। এরপর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করি এবং সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে কাজ করি। তবে তার আগে ২০১৭ সালে হলের ছাত্রলীগের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলাম।