গাজীপুরের পর আশুলিয়ায় সাংবাদিক অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা, গ্রেপ্তার ২
- ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২১:৪৭
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে আশুলিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন ৭১টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিককে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে আসামি দুজনকে আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন। এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম অনিককে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার ৭১ টেলিভিশন আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিক বলেন, গত কাল রাতে একটি অনুসন্ধান শেষ করে একটি চায়ের দোকানে যাচ্ছিলাম। সেখানে আগে থেকে দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পরে সেখান থেকে বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা হলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আমার পিছু নেয়। আমি বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এসে পৌঁছলে তাদের আরও একটি প্রাইভেটকারে চারজনকে দেখা যায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশী অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় ও প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে এগিয়ে আসলে সবাই পালিয়ে যায়। ওই সময় দুজনকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমার অনুসন্ধান ছিল ফার্মেসি নামের আড়ালে মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি নিয়ে। এ নিয়ে তারা আমাকে টার্গেট রাখে। তারা জানতো আমি কাজ শেষে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যাব। তাদের পরিকল্পনা ছিল যেকোনো ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে আমাকে অপহরণ করা। ওই সময় তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে স্থান ত্যাগ করি। কিন্তু তারা পিছু নেয় এবং তাদের পূর্ব পরিকল্পনার অনুযায়ী আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও প্রাইভেটকার নিয়ে বাইপাইল আমার বাসায় যাওয়ার সড়কে অবস্থান নিয়ে রাখে। তারা চেষ্টা করেছে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার। একজন দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আঘাত লাগেনি। এছাড়া মারধর করেছে বাকিরা। ওই সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রাইভেটকার নিয়ে চারজন পালিয়ে যায়। বাকী দুজন মোটরসাইকেল স্টার্ট না হওয়ায় পালিয়ে যেতে পারেনি। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় একটা ক্লিনিকে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।