বদলি নীতিমালা নিয়ে আদালতের রুল, যা বলছে মাউশি

মাউশি লোগো
মাউশি লোগো © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা-২০২১ এর বিধি ১২.২ এবং স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা (স্কুল, কলেজ) ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা- ২০২৪ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না,  তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।  

একই সঙ্গে, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের পূর্বে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিদ্যমান বা ভবিষ্যতে প্রণীত বদলি নীতি/নিয়মের অধীনে সমান শর্তে বদলির সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না— তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

রবিবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতের এ রুলের ফলে বদলি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে কি না তা নিয়ে শিক্ষকদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন আদালতের এ রুলের ফলে থমকে যেতে পারে বেসরকারি  শিক্ষকদের বহুল কাঙ্খিত বদলি কার্যক্রম।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তার সাথে। তারা বলছেন, আদালত কোনো নির্দেশনা দেয়নি। কেবল একটি রুল জারি করেছে। বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী। মন্ত্রণালয় এ রুলের জবাব দেবে। রুলের কারণে বদলি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

জানতে চাইলে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম উদ্দিন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রুলের বিষয় নিয়ে মাউশির কোনো কার্যক্রম নেই। আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করছি। রুলের কারণে এটি থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রুলের জবাব দেবেন। আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো।’