সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে ববি প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ © টিডিসি ফটো

গাজীপুরে সাংবাদিক মোঃ আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার, সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব (ববিপ্রেক)। আজ শনিবার (৯ আগষ্ট) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মূল ফটকের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে অনুষ্ঠিত  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ববি প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

এসব ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় তাদের হাতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই, অপরাধীর বিচার চাই, উই ডিমান্ড জাস্টিস, উই ডিমান্ড সেফটি, জাস্টিস ফর তুহিন সহ ইত্যাদি লেখা প্লাকার্ড দেখা যায়। 

এ সময় দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের আরিফ হোসাইন বলেন, আজ আমরা এখানে এক গভীর শোক ও ক্ষোভ নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কারণ, ৭ই আগস্ট, গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাহসী সংবাদকর্মী মোঃ আসাদুজ্জামান তুহিন; যিনি সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, দুর্নীতি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন তাকে দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে।

এই হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তিগত ঘটনা নয়, এটি গোটা সাংবাদিক সমাজের জন্য একটি শোকবার্তা, একটি হুমকি। একজন সাংবাদিককে হত্যা মানে—সত্যের কণ্ঠরোধ করা, মানুষের জানার অধিকারকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। 

বাংলাদেশে সরকারসহ সকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রমাণ দেখা যায় না। সাগর-রুনী হত্যার ১ যুগ পেরিয়ে গেছে, এর মাঝে অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, অনেক সাংবাদিক মারধর করা হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হেনস্তার স্বীকার হয়েছে ;কিন্তু এগুলোর কোনো বিচার হয়নি।এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিকরা সত্য, অপরাধ ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি, তুহিন হত্যার সর্বোচ্চ বিচারের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হোক যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে না পারে। 

দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার ববি প্রতিনিধি আবু উবাইদা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আমরা আশা করেছিলাম গণমাধ্যম স্বাধীন হবে, আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবো, কিন্তু তার উল্টো ঘটছে। গণমাধ্যম আসলে পরিপূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। সহকর্মী তুহিনকে হত্যার মাধ্যমে দেশের সকল গণমাধ্যমকর্মীদের উপর আঙুল তোলা হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব ইন্টেরিম গভর্মেন্টকে হুশিয়ারি করে দিচ্ছে অতিদ্রুত সময়ের ভিতর যদি সাংবাদিক তুহিন হত্যার সর্বোচ্চ বিচার করতে না পারে তাহলে সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক একত্রিত হয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।