ঢাবির হলে নন-পলিটিক্যাল শিক্ষার্থী বেশি, তাদের বিরোধী ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দিয়েন না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিক্ষোভে শিবির, ছাত্রী সংস্থা, বাগছাস এবং কোন কোন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ক্রীড়নক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন সাংবাদিক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির। তাঁর মতে, আবাসিক হলে নন-পলিটিক্যাল শিক্ষার্থীই বেশি। তাদের ছাত্রলীগের মতো ঠেলে বিরোধী ক্যাম্পে ঢুকিয়ে না দেওয়ার না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার (৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেছেন কদরুদ্দীন শিশির। তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, শিবির, ছাত্রী সংস্থা, বাগছাস এবং কোনো কোনো বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গতকালের ঢাবির বিক্ষোভে ক্রীড়নক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে হয়তো।  কিন্তু হলগুলোতে রাজনীতি থাকার ফলে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের তৈরি করা ট্রমাটিক পরিবেশের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে আতঙ্ক, সেটা আমলে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘হলগুলোতে ছাত্র সংগঠনগুলোর কমিটি না চাওয়া সবাইকে গুপ্ত শিবির, ছাত্রী সংস্থা বা এনসিপি বলে ট্যাগালে তা ছাত্রদলের জন্য মোটেও ভাল কিছু ভয়ে আনবে না। সবাই শিবির, এ জন্য সম্ভাব্য ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের কমিটির বিরোধিতা করছে, এমন ভাবনা আর অনলাইন ট্রলিং ছাত্রদলকে শক্তিশালী করবে না। বরং নন-পলিটিক্যাল শিক্ষার্থী এবং অন্য সংগঠনগুলোর ট্রমা আরো বাড়াবে।’

আরও পড়ুন: ঢাবির হলে ছাত্র সংগঠনের দেওয়া পানির ফিল্টার ভাঙচুর, ভেন্ডিং মেশিনে জুতা নিক্ষেপ

কদরুদ্দীন শিশির বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মী আর ছাত্রদলের ওয়েল উইশারদের উচিত, অনলাইনে ট্যাগাট্যাগি না করে মাঠে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে এংগেজ করা, তাদের কনসার্ন শুনে সেগুলো সমাধানে তাদের সাথে মিলে কাজ করা। দূর থেকে বসে হাসাহাসি করলে সমস্যা আরও বড় হবে। নন-পলিটিক্যাল শিক্ষার্থীই বেশি, তাদেরকে ঠেলে বিরোধী ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দিয়েন না, ছাত্রলীগ যেভাবে দিয়েছিল।’