ঢাবির রোকেয়া হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীর
- ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৩৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য হল প্রশাসনকে ৩০ মিনিটের আল্টিমেটাম দিয়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়া পানির ফিল্টার, ভেন্ডিং মেশিন, ময়লা বিনসহ সকল উপহার বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে রোকেয়া হল সহ অন্যান্য মেয়েদের হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা জোরালো স্লোগান দিতে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা তাসনিম বলেন, ‘ছাত্র শিবিরের দেওয়া পানির ফিল্টার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উপহারগুলি হলে রাখার মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির প্রবেশে সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। রোকেয়া হলের প্রভোস্টের এই বিষয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদে আমরা এইসব উপহার হল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া আমরা প্রভোস্টকে আধা ঘন্টার মধ্যে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আল্টিমেটাম দিয়েছি।’
আরেক শিক্ষার্থী আদিবা সাইমা খান বলেন, ‘রোকেয়া হলে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশ করানোর জন্য যেসব রাজনৈতিক উপহার পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো সব মেয়েদের হলেই বয়কট করা হয়েছে। ঠান্ডা পানির ফিল্টার, ভেন্ডিং মেশিন, ময়লার বিন সহ সকল উপহার বয়কটের আওতায় এসেছে।’

এর আগে, রোকেয়া হলকে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি ও গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করার ৪টি দাবিতে স্মারকলিপি স্বারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- রোকেয়া হলকে প্রকাশ্য ও গুপ্ত-সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচিত হল সংসদ কমিটি ব্যতিত কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন হল ভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করলে তাদের আবাসিক সিট বাতিলকরণ করা হবে। ছাত্রদল, বাগছাস, শিবির, ছাত্রীসংস্থা, ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) সহ অন্যান্য সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন গুল্যে কোন রকম গোপন কমিটি দিতে পারবেনা, প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের সিটও বাতিল করা সহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৭ জুলাইয়ের স্মারকলিপিতে স্মারক নাম্বার বসিয়ে আইনী ভিত্তি রচনা করতে হবে এবং প্রভোস্ট, হাউজটিউটর ও কর্মচারী সহ হল কর্তৃপক্ষ কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মেয়েদের সহযোগিতা করার প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীর তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।