‘শাহবাগের ন্যারেটিভ ফিরিয়ে আনা মানে আওয়ামী লীগের কালচার একটিভ করা’

ডা. মাহমুদা মিতু
ডা. মাহমুদা মিতু © সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু বলেছেন, শাহবাগের ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনার অর্থ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কালচার আবার সক্রিয় করা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, ‘শাহবাগের যে ন্যারেটিভকে বাংলাদেশের একটি শিশুও ঘৃণা করে, সেটিকে ফিরিয়ে আনা মানেই আওয়ামী লীগের কালচারকে পুনর্জীবিত করা। চেতনার মন্দির ধানমন্ডি ৩২ যেভাবে ঘৃণার সঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি নতুন করে গড়ে ওঠা চেতনার ব্যবসাও গুড়িয়ে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের রাজাকার-ন্যারেটিভ ধারণকারী যে কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠী কিংবা কালচারাল সেলের বিরুদ্ধে কঠোর দমন চালিয়ে যেতে হবে।’

নিজের রাজনৈতিক চেতনার উত্স ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি আরও লেখেন, ‘শাহবাগের আওয়ামী ন্যারেটিভ ঘৃণা করতে করতেই আমি রাজনীতি বুঝেছি। শেখ হাসিনাকে ঘৃণা করতে শিখেছি। শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে তখনকার নাস্তিক—পড়ুন, এন্টি-ইসলামিস্টদের আচরণ দেখে দেখে আমি আরও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছি। সেই সময় জিন্স পরে ঘুরে বেড়ানো একটি মেয়ে হিসেবেও শুধুমাত্র বিবেকের তাড়নায় শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘২৪ (জুলাই) যেমন আমার জন্য ট্রমার, তেমনি সেসময়ের অত্যাচারের ভিডিও, ছবি, ভয়েস ক্লিপ এবং বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে হত্যার দৃশ্যও আমার মনে গভীর দাগ কেটে রেখেছে। সেই সময় থেকেই আমরা একটি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ এসব বললেই জামায়াত, ইসলামি আন্দোলন কিংবা হেফাজতের লোক হিসেবে ট্যাগ দেওয়া হয়—যা অত্যন্ত কৌশলী অপপ্রচার।’

ডা. মিতু জানান, ‘গত ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনের মধ্যে আমার ফেসবুকের রাজনৈতিক জীবন ১৪ বছরের। এই ১৪ বছরে আমাকে হাজারবার রাজাকার বলা হয়েছে। কিন্তু ২৪ তারিখে মানুষ শহীদ হওয়ার পর, শাহবাগীদের সেই পুরনো আওয়ামী ন্যারেটিভ আর প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। ১৯৭১ আমাদের সবার ইতিহাস, তবে সেটিকে পুঁজি করে আর যেন দমন-পীড়নের দিন ফিরিয়ে আনা না হয়।’