আপনার পাসওয়ার্ড কি নিরাপদ? জেনে নিন সুরক্ষার সঠিক উপায়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

বর্তমান ডিজিটাল যুগে পাসওয়ার্ড হয়ে উঠেছে আমাদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-মেইল কিংবা স্মার্টফোন, সবখানেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন শক্তিশালী একটি পাসওয়ার্ড। তবে প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকারদের কৌশলও হয়েছে উন্নত, যার ফলে সাধারণ কিংবা দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারীরা পড়ছেন বড় ধরনের সাইবার ঝুঁকিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপদ থাকতে হলে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে কিছু নিয়ম মেনে। যেমন, একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ডে থাকতে হবে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্নের সমন্বয়। শুধু নিজের নাম, জন্মতারিখ কিংবা পোষা প্রাণীর নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করলে তা খুব সহজেই অনুমানযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে হ্যাকারদের পক্ষে এগুলো ভাঙা কঠিন কিছু নয়। পাসওয়ার্ড যেন হয় জটিল ও অনির্দেশযোগ্য, সেই বিষয়ে হতে হবে সচেতন।

একই ধরনের পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করাও মারাত্মক ভুল। সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড যদি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও ব্যবহার করা হয়, তাহলে একটির তথ্য ফাঁস হলে অন্যগুলোও হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড রাখা উচিত। পাশাপাশি অন্তত প্রতি ২-৩ মাস পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

সুরক্ষা বাড়াতে অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু রাখুন। এতে পাসওয়ার্ড ছাড়াও দ্বিতীয় ধাপে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ওটিপি কিংবা বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, যদি কোনো ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে কেউ পাসওয়ার্ড, ওটিপি বা গোপন তথ্য জানতে চায়, তবে সচেতনভাবে তা এড়িয়ে চলুন। কারণ এসবই হতে পারে সাইবার প্রতারণার ফাঁদ।

অন্যদিকে, স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ডিভাইসেও রাখা উচিত আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় সংবেদনশীল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করে নিরাপদে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করা যেতে পারে।