চরফ্যাশনে সরকারি ৩ প্রকল্পে অনিয়ম তদন্তে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ‘রাইটস ফর কোস্টাল পিপলের’

 চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে টিআর প্রকল্প
চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে টিআর প্রকল্প © টিডিসি

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে উপকূলীয় মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘রাইটস ফর কোস্টাল পিপল (আরসিপি)’।

আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। 

এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান রেদওয়ানুল হক ও মহাসচিব ইব্রাহিম খলিল সবুজ বলেন, ‘সম্প্রতি চরফ্যাশন উপজেলার চলতি বছরের কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের বরাদ্দের তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, বিভিন্ন মহল থেকে এই ৩ প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। যা জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে। 

বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। উল্লেখিত প্রকল্পের কাজে অনিয়মের প্রতিবাদে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা মানববন্ধন করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন রাইটস ফর কোস্টাল পিপল (আরসিপি) প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করছে। একই সঙ্গে ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জি এম. ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে চরফ্যাশনের ২১টি ইউনিয়নে ১৫৯টি প্রকল্পের আওতায় টিআর বাবদ ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, কাবিখা প্রকল্পে ২৫৫ মেট্রিক টন গম এবং কাবিটা প্রকল্পে ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 প্রতিটি প্রকল্প যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন হয়, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। বর্ষার কারণে কিছু এলাকায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

৩ প্রকল্পের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ‘দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কিছু এলাকায় প্রকল্পের কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, তবে সেগুলো চলমান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সিভিসিদেরকে (ইউপি সদস্য) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকল্পের অর্থ যেন এক টাকাও অপচয় না হয়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।’