ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হলেন ৫ অধ্যাপক
- ০২ আগস্ট ২০২৫, ০০:৪৬
৫ অধ্যাপককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট সদস্য মনোনয়ন দিয়েছে সরকার। আগামী তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক সিনেটে শিক্ষাবিদ সদস্য হিসেবে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. সদরুল আমিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২০(১)(ই) ও ২০(২) ধারা অনুযায়ী এই ৫ জন জন শিক্ষাবিদকে সিনেট সদস্য হিসেবে ৩ বছরের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে মোট ১০৫ জন সদস্য থাকেন, তার মধ্যে পাঁচজন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক শিক্ষাবিদ থাকেন। এই পাঁচজনকে মনোনয়ন দিল সরকার।
আর্টিক্যাল ২০(১)(এ)(বি)(সি) অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও কোষাধ্যক্ষ— এই চারজন সিনেটের সদস্য। এছাড়া আর্টিক্যাল ২০(১)(ডি) অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক মনোনীত ৫ জন সরকারী কর্মকর্তা, আর্টিক্যাল ২০(১)(ই) অনুযায়ী, স্পীকার কর্তৃক মনোনীত ৫ জন সংসদ সদস্য, আর্টিক্যাল ২০(১)(জি) অনুযায়ী, সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত গবেষণা সংস্থার ৫ জন প্রতিনিধি, আর্টিক্যাল ২০(১)(এইচ) অনুযায়ী, একাডেমিক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত অধিভূক্ত ও উপাদানকল্প কলেজসমূহের ৫ জন অধ্যক্ষ, আর্টিক্যাল ২০(১)(আই) অনুযায়ী, একাডেমিক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত অধিভূক্ত ও উপাদানকল্প কলেজসমূহের ১০ জন শিক্ষক, আর্টিক্যাল ২০(১)(কে) অনুযায়ী, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট কর্তৃক নির্বাচিত ২৫ জন প্রতিনিধি, আর্টিক্যাল ২০(১)(এল) অনুযায়ী, শিক্ষক কর্তৃক নির্বাচিত ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং আর্টিক্যাল ২০(১)(এম) অনুযায়ী, ডাকসু কর্তৃক মনোনীত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি সিনেটের সদস্য হয়ে থাকেন।
জানা গেছে, প্রতিবছর জুন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে নানাবিধ জটিলতার কারণে এবার নির্ধারিত সময় জুনে হয়নি সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন।
গত ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাবির প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ে সিনেট অধিবেশন আয়োজন সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেছিলেন, সিনেটে যেসব শিক্ষক প্রতিনিধি রয়েছেন, তাদের ২৫ জনের মেয়াদ ১৫ জুন শেষ হয়েছে। এছাড়া ৩৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অনেকেই ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে পরিচিত, যা একটি বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের সমস্যার কারণেই আমরা পূর্বে একটি সিন্ডিকেট সভাও আয়োজন করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেছিলেন, কোষাধ্যক্ষ, সিনেট অধিবেশনে সরকারের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি থাকার কথা, কিন্তু এখনো সরকার সেই প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়নি। ফলে এটি আমাদের কোনো অবহেলার ফল নয়, বরং প্রশাসনিক জটিলতার কারণেই নির্ধারিত সময়ে সিনেট অধিবেশন সম্ভব হচ্ছে না।