ঝিকরগাছায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

ঝিকরগাছা ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
ঝিকরগাছা ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা © সংগৃহীত

আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ঝিকরগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির উপজেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এই প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই শেষে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামী মূল্যবোধ, সুশাসন, জনসেবা ও সামাজিক ন্যায়ের আলোকে পরিচালিত একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন করাই তাদের লক্ষ্য। জামায়াতের মতে, একটি কার্যকর ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা গড়ে তুলতে হলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন অত্যন্ত জরুরি। সেই আস্থা অর্জনের জন্য প্রয়োজন আদর্শবান, সৎ এবং কর্মঠ নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই জনবান্ধব প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

ঘোষণায় ঝিকরগাছা পৌরসভায় মেয়র পদে অধ্যাপক হারুন অর রশিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম (গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন), মাষ্টার মনিরুজ্জামান (শিমুলিয়া ইউনিয়ন), মাওলানা নজরুল ইসলাম খান (গদখালি ইউনিয়ন), মিজানুর রহমান লাল্টু (পানিসারা ইউনিয়ন), মাওলানা আব্দুল আলিম (ঝিকরগাছা ইউনিয়ন), জিয়াউল হক (নাভারন ইউনিয়ন), মাওলানা আনারুল ইসলাম (নির্বাসখোলা ইউনিয়ন), অধ্যাপক শফিকুর রহমান (হাজিরবাগ ইউনিয়ন), আলহাজ্ব নেছার উদ্দিন (শংকরপুর ইউনিয়ন) এবং অ্যাডভোকেট হাবিব কায়সার (বাঁকড়া ইউনিয়ন)। মাগুরা ইউনিয়নের জন্য প্রার্থী ঘোষণার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন অভিজ্ঞ আলেম, জনপ্রিয় শিক্ষক, সমাজসেবক, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী—যারা দীর্ঘদিন ধরে নিজ নিজ এলাকায় সমাজ উন্নয়ন ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় এই ঘোষণা স্থানীয় রাজনীতিতে ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই তালিকাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর এই আগাম প্রস্তুতি এবং তৃণমূল পর্যায়ের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া প্রমাণ করে, দলটি এবারের নির্বাচনে সংগঠিতভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে।