ডাকসুর তফসিলকে স্বাগত জানালেন ছাত্রদল সম্পাদক নাছির
- ৩০ জুলাই ২০২৫, ২১:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন হবে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তফসিল ঘোষণা করেন অধ্যাপক মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন। এ সময় তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এই তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। পরে বিকেলে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রজনতার জাগরণের জুলাই শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই স্বাগত জানান তিনি।
নাছির বলেন, ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ঢাবি প্রশাসনকে ৪০টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৭টি লিখিত সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সেই প্রস্তাবের মাত্র ১ শতাংশকে আমলে নেওয়া হয়েছে। জুলাই আগস্টের খুনি হাসিনার সহযোগী ছাত্রলীগের বিচার এখনো করতে পারিনি। ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার প্রত্যক্ষ সহযোগী খুনি হাসিনার পক্ষে যারা স্লোগান দিয়েছিল সেসকল শিক্ষকদের একজনকেও বিচারের আওতায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ আনতে পারিনি। গঠনতন্ত্র সুপারিশ আমলে না নিয়ে ও ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের বিচার প্রক্রিয়া অগ্রগতি না করে ঢাবি প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এরপরেও ছাত্রদল তাদের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরে ছাত্রদলের সমর্থক হওয়ার কারণে কোন নেতাকর্মী ঢাবির হলে থাকতে পারে নাই। বিগত সময়ে তারেক রহমানের ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়ার কারণে ছাত্রদলের এক সমর্থকদের মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
‘‘আমরা আশা করছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো সুযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তারা কাজ করবে। যেসব শিক্ষক খুনি হাসিনাকে গুলি করার জন্য যারা পরামর্শ দিয়েছিলো ফ্যাসিবাদের সরাসরি দোসর সেসব শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিচার প্রক্রিয়া সেটিও করা হয়নি। এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মধ্যেও ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে এরপরেও আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’
নাছির বলেন, গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। রাবি পুরো প্রশাসন একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যেভাবে পরিচালনা করে সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যারা জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পরিচালনা করছে। এমনও কথিত রয়েছে রাবির প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পূর্বে উপাচার্য শিবিরের পারমিশন নিয়ে থাকে। শিবিরের অনুমোদিত ব্যতীত তিনি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। একটি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য রাবি প্রশাসন তড়িঘড়ি করে কোন সংস্কার না করে, শিক্ষার্থীদের মতামত না নিয়ে রাকসু নির্বাচনের যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।