উপাচার্যের আগমন ঘিরে ইবিতে সাজিদ হত্যার বিচার দাবিতে মৌন অবস্থান

সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান
সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান © টিডিসি

ছুটি শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর ক্যাম্পাসে আগমন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচারের দাবিতে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এ মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানিনা মানবো না’; ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন স্বর্গে’; ‘লাশ ভাসার ১০ দিন পর আসায় ধন্যবাদ স্যার’; ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’; ‘হইছে তো, আবেগী হইয়ো না!’; ‘তদন্তের অগ্রগতি কতদূর স্যার?’ ‘অনতিবিলম্বে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাই’; ‘মাছের বেলায় সবাই সই, লাশ ভাসলে ভিসি কই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু নয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়নি। তাকে অবশ্যই হত্যা করা হয়েছে। সাজিদের লাশ দীর্ঘ সময় ভেসে থাকলেও সেখানে প্রশাসনের কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রশাসন গত সপ্তাহে ৬ দিনের সময় নিলেও এখন পর্যন্ত আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ দেখিনি, রিপোর্ট দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এই অবহেলা আমাদের আরো শঙ্কিত করছে। সাজিদ হত্যার বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে গেলে যারা লুকায়িত আছে তারা আরো সাহস পেয়ে যাবে। আমরা অতিদ্রুত সাজিদের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানাই।’

তারা আরও বলেন, ‘বুজলাম ভিসি স্যার দেশের বাইরে ছিলেন। কিন্তু সেখানে বসেও ত তিনি সাজিদের পরিবার বা কাছের বন্ধুবান্ধবদের সাথে কথা বলতে পারতেন। আমরা জানি না তিনি সাজিদের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন কি না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশাসনকে কীভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন, তৎপর আছেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে একটা ভিডিও বার্তা দিতে পারতেন। আমরা এটাও জেনেছি যে তার এই সফর কোন সরকারি সফর ছিলো না। তিনি চাইলেই তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসতে পারতেন। কিন্তু ভিসি স্যার এগুলোর কিছুই করেননি। প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের কাছ থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করি না। চব্বিশের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে এই পদে বসে তার প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীর হত্যা হয়ে যাচ্ছে, সেই বিষয়ে ভিসি স্যারের আরেকটু কন্সার্ন আমরা আশা করেছিলাম।’