লুৎফুজ্জামান বাবর মজলুমদের জীবন্ত প্রতীক, তাকে হেয় করা গ্রহণযোগ্য নয়: শিশির মনির

অ্যাডভোকেট শিশির মনির
অ্যাডভোকেট শিশির মনির © সংগৃহীত

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে হেয় করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নেত্রকোণায় করা মন্তব্য নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে বাবরকে হেয় করে কথা বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির। তিনি বলেছেন, লুৎফুজ্জামান বাবর মজলুমদের জীবন্ত প্রতীক।

আজ সোমবার (২৮ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজে অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে অ্যাডভোকেট শিশির মনির লেখেন, ‘জনাব লুৎফুজ্জামান বাবর মজলুমদের জীবন্ত প্রতীক। তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্মান প্রদর্শন করুন—তবেই আপনি সম্মান পাবেন।’

এর আগে, রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্সূচি ঘিরে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন বাবরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় ঘটনা ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। যদি হ্যান্ডেলই করতে না পারেন, তাহলে নিয়ে আসলেন কেন? দক্ষিণ এশিয়াতে এই অস্ত্র কাহিনীর কারণে বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে। অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে বন্দরনগরীর কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা করা হয়। পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনের তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে আনা হয় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘উলফা’র জন্য। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওই চালান ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অস্ত্র চোরাচালন মামলায় বিচারিক আদালতে লুৎফুজ্জামান বাবরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি হাই কোর্টে আপিলের রায়ে খালাস পান।