পানিবন্দি দশ হাজার মানুষ, খাদ্যের সংকট

পানিবন্দি মানুষ
পানিবন্দি মানুষ © টিডিসি

নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে তেঁতুলিয়া নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে থেমে থেমে ঝড় ও বৃষ্টি অতিবাহিত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাবে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া, নাজিরপুর ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপকূলীয়  অঞ্চল বাউফলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। 

শুক্রবার থেকে পানি বাড়তে শুরু করলেও শনিবার সকাল থেকে নদীর পানি হঠাৎ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে হাঁটু সমান জল। 

পানিবন্দি গ্রামগুলোতে এখনো স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বা শুকনো খাবার পৌঁছায়নি। বেশির ভাগ গ্রামের মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছে। এদিকে, প্রায় দেড় বছর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের একমাত্র রক্ষা বাঁধটির অধিকাংশ স্থান বিলীন হয়ে যায়। তখন তিন মাসের মধ্যে বাঁধ পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়নি। ফলে জোয়ারের পানিতেই প্লাবিত হচ্ছে পুরো  চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে দুর্গত এলাকায় দ্রুত শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর দুর্যোগ ও জোয়ারের কারণে একই ধরনের পরিস্থিতি নিয়মিত সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্টরা জানেই না এসব!  দ্রুত সহায়তা না পৌঁছালে এই আবহাওয়ায়  আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিও  পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।