বিজ্ঞান ও কর্মমুখী শিক্ষার ওপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

ইউএপির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার
ইউএপির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার © সংগৃহীত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। সরকার এ বিষয়টি সামনে রেখে শিক্ষা পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

আজ শনিবার (২৬ জুলাই) ইউনিভাসিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জুলাই মাসে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহীদ ও বীর জুলাই যোদ্ধাদের। দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে যুগোপযোগী কারিকুলাম, পাঠদান পদ্ধতি, যথাযথ মূল্যায়ন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তথ্য-প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ জন্য তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার ধারণা ও পদ্ধতির প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন-কর্ম, চাহিদা ও সামাজিক অভিজ্ঞতা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যুগে প্রবেশ করছি। এ যুগে গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: নটর ডেমসহ রাজধানীর তিন কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মান যত শক্তিশালী হবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের ভিত্তি তত দৃঢ় হবে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োগ করে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। আমাদের নতুন প্রজন্ম যদি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আয়ত্ত্ব করে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, তা হলেই দেশের দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে একটি আধুনিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে গবেষণাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। মেধাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার প্রতি অধিক মনোযোগ দিতে হবে।’