স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠা হয়েও এমপিও হলো না, বেতন ছাড়াই অবসরে শিক্ষক
- ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৭
চাকরি জীবনের পুরোটা সময় বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে অবসরে গেলেন জয়পুরহাটের তেঘর বিশা ডি. এস দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবু তাহের। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করলেও কোনো মাসে পাননি সরকারি বেতন।
সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমি ১৯৯৫ সালে এই মাদরাসায় যোগদান করি। ২০২৪ সালের ২৮ জুন অবসরে যাই। কিন্তু পুরো চাকরি জীবনে এক দিনের জন্যও সরকারি বেতন পাইনি। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষকতা পেশায় এসেছিলাম। আজ সব শেষ।’
স্বাধীনতার আগেই, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মাদরাসা। কিন্তু আজও তা এমপিওভুক্ত হয়নি। শুধু এ প্রতিষ্ঠানই নয়, জেলার এমন ২৩টি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি আর্থিক সহায়তা ছাড়াই সেবাদান করে যাচ্ছেন।
কালাই টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম মহিলা কলেজের প্রভাষক হাবিবুল হাসান বলেন, ‘২০০৯ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছি। ১৭ বছর ধরে ক্লাস নিচ্ছি, কিন্তু কোনো বেতন পাই না।’
মোলামগাড়ী আদর্শ কলেজের প্রভাষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘চাকরিতে থাকা অবস্থায়ই অনেকের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবু এমপিওভুক্তির কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. মনোয়ারুল হাসান বলেন, ‘এমপিওভুক্তি একটি নীতিমালাভিত্তিক প্রক্রিয়া। কিছু প্রতিষ্ঠান হয়তো এখনো সেই শর্ত পূরণ করতে পারেনি।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, সরকারি এমপিওভুক্তির একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন এমপিওভুক্ত হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে।’