থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে নিহত ১৫, বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি

মিলিটারি ট্যাংক
মিলিটারি ট্যাংক © সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বহুদিনের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চল ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ নিয়ে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত অঞ্চল। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সংঘর্ষের প্রথম দিনেই থাইল্যান্ডে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন। আহতদের মধ্যে থাই সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই থাই সীমান্তবর্তী গ্রামের হাজারো মানুষ নিজ ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে পালাতে শুরু করেন। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চল নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তবে গত ১৫ বছর শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় থাকলেও সম্প্রতি পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় একটি স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনা গুরুতর আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ার দুটি সীমান্ত ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ডের যুদ্ধবিমান।

এই হামলার জবাবে থাইল্যান্ডের দুটি সীমান্ত প্রদেশে রকেট হামলা চালায় কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। ওই রকেট হামলায়ই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার রাজধানী ব্যাংককে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন, ‘আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পরিস্থিতির কারণে থাই সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে হতাহতের কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য এখনো আসেনি। তবে সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। [সূত্র: এএফপি]