বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন আজ
- ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩৯
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮৬তম জন্মদিন আজ। প্রায় পাঁচ দশক ধরে ‘আলোকিত মানুষ’ তৈরির নিরলস সাধনায় কাজ করে চলেছেন তিনি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের হাজারো তরুণ-তরুণীর মধ্যে পাঠাভ্যাস ও মানবিক চেতনা ছড়িয়ে দিয়েছেন এ প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদ।
১৯৩৯ সালের এ দিনে ভারতের কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চায় তাঁর অগ্রণী ভূমিকা একাধিক প্রজন্মকে আলোর পথ দেখিয়েছে। জন্মদিনে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের অসংখ্য মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছেন।
তাঁর পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কামারগাতি গ্রামে। বাবা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন শিক্ষক। ১৯৫৫ সালে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৫৭ সালে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।
১৯৬০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থকে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে তিনি রোমেন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য ২০০৫ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি টিভি উপস্থাপক হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৬১ সালে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। পরবর্তী সময়ে তিনি কিছুকাল সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালে রাজশাহী কলেজ প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিজীবন শুরু করেন। এরপর বর্তমানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ও ঢাকা কলেজেও শিক্ষকতা করেন।
৩৫ টাকা অনুদান আর ১৫ জন সদস্য নিয়ে ১৯৭৮ সালে ঢাকা কলেজ সংলগ্ন নায়েমের একটি কক্ষে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পথচলা শুরু একটি পাঠচক্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে। তারপর ইন্দিরা রোডের একটি ভবন ছেড়ে ১৯৮৩ সালে বাংলামোটরে কেন্দ্রের স্থায়ী ঠিকানার গোড়াপত্তন। এখান থেকেই দেশব্যাপী তার 'আলোকিত মানুষ চাই' কার্যক্রমের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ। ১৫ জন সদস্য থেকে কেন্দ্রের কার্যক্রমের সুফলভোগী এখন কোটি মানুষ।