টাইগারদের সামনে ১৭৯ রানের চ্যালেঞ্জ, এবার কি ধবলধোলাই হবে পাকিস্তান?

জয়ের জন্য টাইগারদের লক্ষ্য এখন ১৭৯ রান।
জয়ের জন্য টাইগারদের লক্ষ্য এখন ১৭৯ রান। © সংগৃহীত ছবি

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই ট্রফি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছে তারা হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে। এ ম্যাচে হেরে গেলে ধবলধোলাই হবে—এমন বাস্তবতা মাথায় রেখে আজ দারুণ ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৮ রান। সেই অনুযায়ী, জয়ের জন্য টাইগারদের লক্ষ্য এখন ১৭৯ রান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।

দর্শক-ভক্তদের প্রত্যাশা, আজও দুর্দান্ত খেলবে বাংলাদেশ, সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করবে। একসময় উপমহাদেশের পরাশক্তি ভাবা হতো পাকিস্তানকে, এখন বাংলাদেশের সামনে তারা কোণঠাসা। এ ম্যাচ জিতলেই ঘরের মাঠে টাইগারদের আরেকটি গৌরবময় অর্জন যুক্ত হবে।

হারলেই লজ্জার রেকর্ড! আর বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেখা হবে নতুন এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এমন সমীকরণে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। টপ-অর্ডারের পর মিডল-অর্ডারও দুর্দান্ত ব্যাটিং শৈলী দেখায়। ব্যাটারদের মারকাটারি ইনিংসে ভর হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে শেষমেশ বড় পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। দলের হয়ে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ওপেনার ফারহান। 

ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের ওপর তান্ডব চালাতে থাকেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাহিবজাহা ফারহান ও সাঈম আইয়ুব। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে পাওয়ার প্লেতেই দলীয় হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। এতে ৬ ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ ছাড়ায় পাকিস্তান। অবশ্য এরপরই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

অষ্টম ওভারে সাইমকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। এতে ভাঙে তাদের ৮২ রানের জুটি। ১৫ বলে ২১ রান করা এই ওপেনার ডিপ স্কোয়ার লেগে শামীমের মুঠোবন্দি হন।

এরপর ঝড় তোলা ফারহানকেও ফেরান নাসুম। ৪১ বলে ৬৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ওপেনার। ৬ চারের ৫ ছক্কা মেরেছেন তিনি।

ব্যাট হাতে নেমে ব্যর্থতার বৃত্তেই কাটা পড়েন জীবন পাওয়া মোহাম্মদ হারিস। তাসকিনের বলে ডিপ থার্ডম্যানে নাসুমের হাতে ক্যাচ দেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। ১৪ বল মোকাবিলায় মাত্র ৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তিন ম্যাচ মিলিয়েও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি এই ব্যাটার।  ৪, ০, ৫—তিন ম্যাচে মাত্র ৯ রানই করতে পেরেছেন বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের শেষ ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি ছোঁয়া হারিস।

এরপর দলীয় ১৩১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। মেহেদীর দারুণ এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হাসান নেওয়াজ। ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রান করেছেন হাসান।

এরপর হুসেইন তালাতকে (৪ বলে ১) উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও প্রায় ৯ বছর পর ফের দেড় শ' ছুঁয়ে যায় পাকিস্তান। মিরপুরে এই সংস্করণে চতুর্থবার ১৫০ পেল দলটি। সর্বশেষ ২০১৬ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫১ রান করেছিল পাকিস্তান। শেষ ওভারে জোড়া উইকেটের দেখা পান তাসকিন। মোহাম্মদ নেওয়াজকে ফেরানোর পর ফাহিম আশরাফকেও ফেরান এই পেসার। এতে ১৮০ স্পর্শ করেনি পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ।