৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ নিয়ে যা জানালেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান
- ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩১
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ঠিক কতদিন সময় লাগবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সুপারিশ করার।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে নিজ দপ্তরে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান।
এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৮তম নিবন্ধনের অনেক প্রার্থীর সনদে ভুল ছিল। তারা সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিল। সেগুলো সংশোধনের কাজ প্রায় শেষ। চলতি মাসের মধ্যে সুপারিশের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রিটসহ অন্যান্য বিষয়ে বাধা আসলে সুপারিশে আরও বিলম্ব হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যে প্রার্থীদের সুপারিশের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কিছু বিষয় নিয়ে আদালতে রিট করা হয়েছিল। যদিও রিটগুলোতে স্টে অর্ডার দিয়েছেন আদালত। তবুও আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি। চলতি মাসে সুপারিশ করা সম্ভব না হলে আগামী মাসের মধ্যভাগের মধ্যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৬ জুন লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয় গত ২২ জুন। যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৭ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।
অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে—স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা। সে হিসেবে প্রায় অর্ধেকের মতো পদ ফাঁকাই থেকে যাবে।