দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা এ্যানি খালাস
- ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৮
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী, জামাল হোসেন, তানজীম চৌধুরী এবং খায়রুল ইসলাম লিটন। এর আগে গত ১৬ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ২৩ জুলাই রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জমি ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের কুশখালী এলাকায় একটি স্কুলে অনুদান হিসেবে প্রদত্ত ১০ লাখ টাকার তথ্য।
এছাড়া, অনুসন্ধানে দুদক দাবি করে, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ১ কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। মামলার নথি অনুযায়ী, তার স্থাবর-অস্থাবর এবং অপ্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকা। এর মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দায় হিসেবে দেখানো হয়, ফলে নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা। অথচ ২০১৩ সালের ৩০ জুন দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য দেন।
মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৬ সালের ২৪ মে আদালত এ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। তবে একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে দায়ের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয় এবং মামলাটি বাতিল চেয়ে রুল জারি করা হয়।
পরে, ২০১৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচারিক আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। বিচারকাজ চলাকালে মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে নয়জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।