মেয়ে নাদিয়ার দাফন সম্পন্ন, ছেলে নাফি আইসিউতে ভর্তি—দিশেহারা বাবা-মা

তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়া, নাফি ইসলাম ও তাদের বাবা আশরাফুল ইসলাম নিরব
তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়া, নাফি ইসলাম ও তাদের বাবা আশরাফুল ইসলাম নিরব © টিডিসি সম্পাদিত

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়া (১৩) ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফি ইসলাম। তারা দুই আপন ভাই-বোন। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত নাদিয়াকে দাফন করা হয়েছে। আর ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটের আই্সিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে নাফি। একদিকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছেলে ও অন্যদিকে মেয়েকে দাফন করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাবা আশরাফুল ইসলাম নিরব (সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)।

জানা গেছে, নাদিয়া ও নাফির গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় বসবাস করত তারা। 

মাইলস্টোনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তাহিয়া তাবাচ্ছুম নাদিয়া আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল। পরে সোমবার মধ্যরাত ৩ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। পরে ঢাকার কামাড়পাড়া এলাকায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে পরিবারসূত্র জানিয়েছে। 

নিহতের মামা মো. ইমদাদুল হক তালুকদার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নাফি ইসলামের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তার আমাদের জানিয়েছেন। নাফি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নাদিয়াকে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়নি। ঢাকাতেই দাফন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার বোন ও দুলাভাই দুজনই ভেঙে পড়েছেন। সবার কাছে দোয়া চাই। 

এর আগে ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি ১৬৫ জন। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানা যায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত ৮, নিহত নেই। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত ৪৬, নিহত ১০। ঢাকা মেডিকেলে আহত ৩, নিহত ১। ঢাকা সিএমএইচে আহত ২৮, নিহত ১৬। উত্তরা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে আহত ১৩, নিহত ২। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আহত ৬০, নিহত ১। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আহত একজন, নিহত নেই। 

এ ছাড়াও শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত একজন, নিহত নেই। ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত দুজন,  নিহত ১ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহত তিনজন এবং সেখানে কোনো নিহত নেই।