ভবিষ্যতে যাতে আবার কোন ফ্যাসিস্ট গড়ে না উঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: সাদিক কায়েম
- ২৪ জুলাই ২০২৫, ১১:০৬
ভবিষ্যতে যাতে আবার কোন ফ্যাসিস্ট গড়ে না উঠে আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনসাফের বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাদিক কায়েম।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে 'জুলাই আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ: আমাদের ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের প্রবাসী ভাইদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। আমাদের শহীদ গাজীদের শ্রেষ্ঠ সম্মান দিয়ে তাঁদের পরিবারে দায়িত্ব নিতে হবে। গত ১৬ বছর যেহেতু আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন ছিল না, তাই নির্বাচন কমিশনসহ যেসব স্বাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে মজবুত করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বেশি বেশি লেখা, নাটক, সিনেমা তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে কালচারাল ফ্যাসিস্টের সমূলে উৎখাত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সকল ধরনের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বৈরাচারীদের বিচারের নজির স্থাপন করবে।
শাখা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও চবি শিবিরের সাবেক সভাপতি এস এম আমজাদ হোসাইন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা গালিব বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে পেশিশক্তির মাধ্যমে মিছিল মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়ার কালচার পরিবর্তন করতে হবে। জুলাইয়ের পরে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে হল দখল ও মাস্তানি করতে না দেওয়া। সারা বিশ্বের মাফিয়া সরকারের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল শেখ হাসিনা। দেশের অর্থনীতি সেক্টরকে দুর্নীতি করে সিঙ্গাপুরে টপ টেন ধনী হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের লোকজন। মুক্তিযুদ্ধকে মাস্তানি একটা ইন্ডাস্ট্রি বানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের কাজ রাজনীতি করা নয়, পড়াশোনা করে নেতৃত্ব সম্পূর্ণ হয়ে গড়ে উঠা।
আমাদের দেশের প্রবীণরা রাজনীতি করতে পারছেনা বলেই তরুণরা রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। আমি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে। আর যদি ছাত্ররাজনীতি থাকে তাহলে অবশ্যই ছাত্রসংসদ চালু করতে হবে, সিট বরাদ্দ দিতে হবে এবং কোন শিক্ষার্থী যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।