ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৪
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মিশন চালু করার প্রতিবাদে ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২০ জুলাই ) বিকেল চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, ‘আমার যে জুলাই অভ্যুত্থান করেছিলাম, তার মূল মোটিভেশন ছিল হাসিনার স্বৈরাচার শাসন। হাসিনা তার বিভিন্ন সংস্থা, এজেন্সির মাধ্যমে শাসন করেছিল। আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদী শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো আধিপত্য কায়েম করার জন্য বিভিন্ন দেশে তাদের সংস্থা স্থাপন করে। সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা স্থাপন করার মাধ্যমে তারাও এ আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে। তাই আমার অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই চুক্তি বাতিল করার জন্য।’
ঢাবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মিশন চালুর বিরোধিতার ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করেন। কারণগুলো হলো—জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে, ফলে পররাষ্ট্রনীতিতে স্বকীয়তা থাকবে না। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র ত্বরান্বিত হতে পারে; এ অফিস এলজিবিটিকিউ ও পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি নিয়ে কাজ করে, যা দেশের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ ও আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে এসব অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে; আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন : যেসব দেশে এ কার্যালয় রয়েছে, তাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা নিম্নমানের। বাংলাদেশে এটি স্থাপন হলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশীরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে এবং ধর্ষক বা খুনিদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করতে চাপ আসতে পারে, ফলে অপরাধ বাড়বে এবং ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের কর্মকাণ্ড দেশের নানা সেক্টরে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করবে। এ জন্য আমরা এর প্রতিবাদে মাঠে নেমেছি। সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি সরকার যেন অতি দ্রুত জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সমঝোতা/চুক্তি বাতিল করে।’