শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নামে মামলা 

কাজী জুবায়ের
কাজী জুবায়ের © টিডিসি ফটো

কুমিল্লার মুরাদনগরে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী জুবায়ের ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলা সদরের দক্ষিণপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই শিক্ষার্থী শিহাব আহমেদ বাদী হয়ে মুরাদনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী জুবায়েরকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া আরিফ হোসেনকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুরাদনগর সদরের ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব পাশে নাঈম ও আবু বক্কর নামের ২জন কিশোর মারধর করে। পরে রাত ৯টার দিকে মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিহাব আহমেদ সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী জুবায়েরের কাছে গিয়ে মারধরের কারণ জানতে চায়। এ সময় কাজী জুবায়ের সহ তার সাথে থাকা লোকজন মারধরের ঘটনার কোন ধরনের সমাধান না দিয়ে, উল্টো শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করে। 

এ ঘটনায় ৮জন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হলেও গুরুতর আহত হয় পাঁচজন। আহতরা হলেন, শিক্ষার্থী শিহাব আহমেদ, আরিফ হোসেন, ইকরাম, কিবরিয়া ও রাব্বি।

তবে অভিযুক্ত, মুরাদনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী জুবায়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, ‘মূলত এলাকার ছোট ভাইদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। তার সূত্র ধরে আওয়ামী লীগের সময় যারা রাজত্ব করেছে, সেই শীর্ষ কিশোর সন্ত্রাসী মাহি (শিহাব আহমেদ) এবং ইকরামের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নেয়। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী সন্তানও আহত হয়েছে। এখন তারা উল্টো কোন এক ক্ষমতার বলে আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে। বর্তমানে আমি সহ যাদেরকে মামলায় নাম দেয়া হয়েছে আমরা ঘটনাস্থলেও ছিলাম না এবং কিছুই জানিনা এই বিষয়ে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, মারামারির ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা নেয়া হয়েছে।