কলেজ মাঠে অশালীন টিকটক ভিডিও, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ক্ষোভ
- ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৩:০৭
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠকে ব্যবহার করে অশালীন টিকটক ভিডিও ধারণের পর ভিডিওটি রীতিমতো ভাইরাল। কলেজ চলাকালীন সময় কিংবা বন্ধের পর অনেক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা এই মাঠে নাচ, গানের নামে আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মহলে যেমন উদ্বেগ, তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক ও টিকটক প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের পোশাক ও আচরণ প্রতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার বাইরে চলে গেছে। স্থানীয়রা জানান, এসব কর্মকাণ্ডে কলেজের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার দে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরাই ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কলেজে যাতে এরকম আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সজাগ আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই শিক্ষাঙ্গনে অশ্লীলতা বরদাশত করব না। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তাও নেওয়া হবে।’
কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কিছু ছেলে-মেয়ে এবং বহিরাগতরা কলেজ মাঠের পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্মানহানি হচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক, যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
জান্নাতুন নাহার নামের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যখন ক্লাসে আসি, তখন কিছু ছেলে খোলা মাঠে, কলেজ ইউনিফর্মে রাস্তায় মোবাইল সেটআপ করে ভিডিও বানায়। এটা আমাদের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। দয়া করে কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখুক।’
স্থানীয় এক অভিভাবক জানান, ‘ছেলে-মেয়েদের ভালো শিক্ষা দেয়ার জন্য কলেজে পাঠাই। কিন্তু যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ এভাবে নষ্ট হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোথায় নিয়ে যাব? আমরা চাই প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্রদল নেতা নুর শাহেদ খান রিপন বলেন, আমরা দলীয় ভাবে খোঁজ নিয়েছি, ছেলেটি আমাদের দলের না। তবে আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করে কিভাবে এটির সমাধান করা যায় তা দেখবো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-খারাপ দিক গুলো তুলে ধরবো।
শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দীন রাকিব বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পরে আমরা ওই ছেলের সাথে কথা বলেছি, কিন্তু মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। ইতিমধ্যে আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন। আমরাও দেখি রবিবারের মধ্যে কোন সমাধান হয় কিনা।