প্রাথমিক শিক্ষকদের ঢাকায় মহাসমাবেশ, চার দফা দাবিতে লাগাতার অনশনের হুঁশিয়ারি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা © সংগৃহীত

চার দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সমাবেশ চলে বেলা ১টা পর্যন্ত।

সমাবেশ থেকে শিক্ষকেরা সরকারের কাছে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি, চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

শিক্ষকদের চার দফার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের ষড়যন্ত্রে চার লাখ শিক্ষক কোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন। শিক্ষকদের দশম গ্রেডসহ যে চার দফা দাবি রয়েছে, এটা তাঁদের যৌক্তিক। শিক্ষকদের দাবি আদায়ে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আমি আশা করব।’

আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ জানান, ইতিমধ্যে তিনি দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, শিক্ষাসচিব, অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

সমাবেশে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সমাবেশে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অংশ নেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব মো. এহসানুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাহবাগ থানা শাখার আমির মো. আহসান হাবীব, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাওহীদ হাওলাদার প্রমুখ।