গোপালগঞ্জের সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ৫, ৪শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ © সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গোপালগঞ্জে টানা কারফিউ চলমান থাকলেও শুক্রবার সকালে শহর ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। সকাল থেকেই আন্তজেলা বাস চলাচল শুরু হয়, সড়কে মানুষের উপস্থিতিও গতকালের থেকে মানুষ বেশি দেখা গেছে।

এদিকে সহিংসতার ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭৫ জনের এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।

হামলা ও সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই এবং একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতরা হলেন, মোবাইল যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), দোকান কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭), নির্মাণ শ্রমিক রমজান কাজী (১৮) ও রিকশাচালক রমজান মুন্সী (৩২) সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এছাড়া সংঘর্ষে এ ঘটনায় অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুজন সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০)।

গত বুধবার (১৬ জুলাই) দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাতে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) কারফিউর সময়সীমা বাড়িয়ে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং তিন ঘণ্টা শিথিল করে দুইটা থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক হাজার ৫০৭ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।