ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রমজানের মা, চাইলেন হত্যার বিচার
- ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৫
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। গুলিবিব্দ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ জন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক মানুষ। নিহতদেরই একজন রমজান কাজী। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে শোকে স্তব্ধ পরিবেশ।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মর্জিনা বেগম। মর্জিনার পাশে বসে মেয়েকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন মা রেহানা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার নাতি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। অভাবের সংসারে একমাত্র রোজগারের মানুষ ছিল রমজান। তার টাকাতেই সংসার চলত। এখন আমরা কীভাবে চলব? আমি নাতির হত্যার বিচার চাই।’
নিহতের মামা কলিম মুন্সি চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘রমজান রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সে কোনো দলের ছিল না। কী অপরাধ ছিল তার, যে গুলি করে হত্যা করা হলো? ওর বাবা প্রতিবন্ধী, দিনে একবেলা ভ্যান চালান। এখন এই সংসারের দায়িত্ব কে নেবে?’
কলিম মুন্সি জানান, ‘ঘটনার পর আমরা রমজানকে হাসপাতালে নিই। কিন্তু তাকে বাঁচানো গেল না। সেখান থেকে থানায় গেলে গেট বন্ধ পাই। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপাতালের লোকেরা বলেন, “এখানে সমস্যা হতে পারে, আপনারা লাশ বাড়ি নিয়ে যান।” তাই ময়নাতদন্তও করাতে পারলাম না।’
রমজানের মা চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমার ছেলকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।’
রমজান কাজীর বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হরিনাহাটি গ্রামে। তার বাবার নাম কামরুল কাজী। প্রায় ২০ বছর আগে তারা গোপালগঞ্জ শহরের বিসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।