গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা © টিডিসি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, গতকাল এনসিপি’র সমাবেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমাদের ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত আরো ৩ জন পুলিশ সদস্যকেও রাজারবাগ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এনসিপি নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের প্রতিবেদন প্রকাশ

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ভবিষ্যতে আর যেনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং হবে। কাউকে কোনোরকম ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরো বলেন, যতোদিন পর্যন্ত সব অপরাধীরা ধরা না পড়বে ততোদিন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপদেষ্টা এ সময় গোপালগঞ্জের ঘটনা লাইভ করায় সাংবাদিক-সহ সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে, উপদেষ্টা রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো সহিংস ঘটনার পর জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন এবং পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে প্রতিবেদন তৈরি করে বক্তব্যও দিয়েছে পুলিশ।