গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা ৪০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
- ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪২
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষক। বুধবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এমন নিন্দা জানান তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা মনে করি এ বর্বরতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা নয় বরং জুলাই বিপ্লবের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটানো কাণ্ড। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। আমরা মনে করি, এ হামলা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাকস্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। এমন ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারা দেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের গোপালগঞ্জে জড়ো করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগসমূহ কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে নাই। পাশাপাশি দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে বোমা হামলাসহ নানান অস্ত্র-সস্ত্র বহনকারীদের প্রতি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা লক্ষণীয়। এতে প্রতীয়মান হয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দোর্দণ্ডপ্রতাপে বিরাজ করছে। তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও পেশাদার আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সমন্বয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সমূহকে ঢেলে সাজানো এবং সংস্কার সাধন করতে হবে।
বিবৃতি প্রদানকারী শিক্ষকরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খোঃ লুৎফুল এলাহী, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ড. মো. মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহিব্বুল্লাহ, অধ্যাপক ড. কাজী মো: বরকত আলী, মোহাম্মদ সোহাইব, সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান সাঈদী, মোহাম্মদ ফায়সাল, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: শামসুজোহা, অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মোকতাদিউল বারী চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. সোহাইবুর রহমান, মাহমুদুর রহমান সাঈদী, মোহাম্মদ ফায়সাল, ড. ইকবাল সরোয়ার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় মো. জিল্লাল হোসাইন, ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. কবীর উদ্দিন।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এএফজি মাসুদ রেজা, ডুয়েটের শেখ মো. রোকনুল ইসলাম, আইইউবিএটির অধ্যাপক ড. মো. মমতাজুর রহমান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ড. মো. মনজুর হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শাহ্ মো. তানভীর সিদ্দিকী, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ড. মো. শামিম মণ্ডল, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের মো. আলমগীর কবীর রাজ্জাকী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউছার আহমেদ, মো. লিমন হোসেন, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক রাশেদ মাহমুদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মো. সোহেল রানা, ড. শামীম হামিদী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসান মাহমুদ সাকী, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল বশির, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিবুল ইসলাম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ হিল বাকী, নিপসমের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মো. জামিউল ইসলাম ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মো. ইউসুফ আলী বিবৃতি প্রদান করেছেন।