বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কার দূরের কথা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকিতে: ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ © টিডিসি ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সংস্কার তো দূরের কথা, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম সিকদার হত্যার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মশাল মিছিলটি বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘কক্সবাজারে ইউনিয়ন জামায়াতের এক ঘাতক বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও ক্রমাবনত আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানেরের পর যে সরকারকে ছাত্রজনতা বিশ্বাস করেছিল, সেই সরকার আজ এক বছরে ১ হাজার ২৪৫টি হত্যাকাণ্ড রোধে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংস্কার তো দূরের কথা, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।’

আরও পড়ুন: ১৭ জুলাই: গায়েবানা জানাজায় পুলিশের বাধা, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘১৬ জুলাই—একটি ঐতিহাসিক দিন। গত বছরের এ দিনে রংপুরের শহীদ আবু সাইদ ও চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরাম তাঁদের রক্ত দিয়ে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, তা ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলেছিল এবং স্বৈরাচার পতনের পথ তৈরি করেছিল। অথচ আজ, ঠিক এই দিনে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে গণঅভ্যুত্থানের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ সময় তারা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ইন্টেরিমের এ কোন নীতি’, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘রহিম হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে‌’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।