এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ ঢাবি সাদা দলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের লোগো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের লোগো © টিডিসি সম্পাদিত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একইসঙ্গে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি। বুধবার (১৬ জুলাই) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেও তার দোসররা দেশে রয়ে গেছে। সেই পতিত স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। তারা এনসিপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কয়েক দফা হামলা চালিয়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আহত করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, পরাজিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা ফের দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততা ও ব্যর্থ ভূমিকা গভীর উদ্বেগজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের দায়িত্ব ছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু তারা সেটি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

নেতারা বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হলেও ফ্যাসিবাদ নির্মূল হয়নি। জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষায় ফ্যাসিবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমাদের ঐক্যকে আরও ইস্পাত কঠিন ও সুদৃঢ় করতে হবে। পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি আমাদের শুধু ধ্বংসের দিকেই ধাবিত করবে। এখন প্রয়োজন দুর্বার গণপ্রতিরোধ। যারা দেশের মাটি রক্তাক্ত করছে, মানুষের মৌলিক অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। একইসঙ্গে গোপালগঞ্জে আহত এনসিপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রকৃত দেশপ্রেমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন এটাই সবার প্রত্যাশা।