খুবিতে ‘জুলাই হত্যাযজ্ঞ’ বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু
- ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪৬
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসে ‘জুলাই হত্যাযজ্ঞ’-এর খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে পোস্টারিং ও চিত্র প্রদর্শনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর, চারুকলা স্কুল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি ও 35mm-এর যৌথ উদ্যোগে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ের সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের চিত্র আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অনেক ছাত্র ও সাধারণ মানুষ এখনো আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, ফিরে পেয়েছি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ। অথচ এখনো সেই খুনিদের বিচার হয়নি। বিচারের দাবিতেই আমাদের এই আয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি না থাকলেও শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন। তাই তো দেশমাতৃকার প্রয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এ আয়োজন শুধু স্মৃতিচারণ নয়, খুনিদের বিচারের দাবিকে শক্তিশালী করার একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। এর মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হবে বলে আমি মনে করি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞগুলোর মধ্যে ‘জুলাই হত্যাযজ্ঞ’ অন্যতম নৃশংস। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা জনগণের মনে হতাশা সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচির মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিকে আরো জোরদার করল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, কর্মসূচি আয়োজন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত এবং কমিটির সদস্যসচিব ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শরিফ মোহাম্মদ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী, আইন স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।