বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

শিক্ষকদের সঙ্গে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা
শিক্ষকদের সঙ্গে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা © টিডিসি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদীয় `দরিদ্র শিক্ষার্থী বৃত্তি ফান্ড’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ওই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের ৩৩ শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয়। জানা যায়, সরাসরি ও অনলাইনে ৪৪টি আবেদনের মধ্য থেকে বাছাই করে ৩৩ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি অনুষদ দরিদ্র শিক্ষার্থী বৃত্তি ফান্ড থেকে ওই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে দরিদ্র শিক্ষার্থী বৃত্তি ফান্ডের চেয়ারম্যান এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতা যেন কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণে বাধা না হয়, সে লক্ষ্যেই এই ফান্ড থেকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ফান্ডকে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তারা।

সভাপতির বক্তব্যে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, ‘আগামী বছর থেকে আমরা বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তির প্রদান করতে পারব। আমাদের যারা অ্যালামনাই আছে তারা আমাদের আর্থিকভাবে এ ফান্ডে সহযোগিতা করে। আমরা আশা করি, এ শিক্ষার্থীরা যারা বৃত্তি পাচ্ছেন, তারাও ভবিষ্যতে আমাদের ফান্ড সমৃদ্ধ করতে কাজ করবে।’

অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান একটি মহৎ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই ফান্ডের আদলে অন্য অনুষদ ও জেলাভিত্তিক শিক্ষার্থী সংগঠনগুলোকেও এমন উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করা উচিত। পাশাপাশি প্রতি সেমিস্টারে যারা একাডেমিকভাবে প্রথম হয়, তাদেরও যদি বৃত্তির আওতায় আনা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও উৎসাহ পাবে এবং ভালো ফলাফলের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।