ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল, গোল্ডেন বুট পেলেন যারা 

 গোল্ডেন বল জেতা চেলসির কোল পালমার, গোল্ডেন গ্লাভ জেতা চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ এবং সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা দেজিরে দুয়ো
গোল্ডেন বল জেতা চেলসির কোল পালমার, গোল্ডেন গ্লাভ জেতা চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ এবং সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা দেজিরে দুয়ো © সংগৃহীত

শিরোপা গেছে চেলসির হাতে। তবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল শুধু দলীয় বিজয়ের গল্পই নয়—ব্যক্তিগত স্বীকৃতির আলোয়ও ছিল উজ্জ্বল। সেরা খেলোয়াড়, গোলদাতা, গোলরক্ষক কিংবা উদীয়মান প্রতিভা—ফিফার দেওয়া বিভিন্ন পুরস্কার ঘিরে ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।

৩২ দলের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই আসরে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছেন চেলসির কোল পালমার। মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ফাইনালে দলের তিনটি গোলেই রেখেছেন সরাসরি ভূমিকা—নিজে করেছেন দুটি, করিয়েছেন একটি। এর আগে সেমিফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষেও করেছিলেন একটি গোল।

তবে গোলসংখ্যায় শীর্ষে নন পালমার। যদিও তাঁর গোল-প্রচেষ্টার সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ—২১টি। চূড়ান্ত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই গোল্ডেন বল উঠেছে তাঁর হাতে।

গোল্ডেন বুট জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া, যিনি টুর্নামেন্টে করেছেন ৪টি গোল। এই সংখ্যক গোল রয়েছে আরও তিনজনের—বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি এবং আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দোর। তবে গার্সিয়ার রয়েছে একটি অ্যাসিস্ট, যা তাঁকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।

সেরা গোলকিপারের স্বীকৃতি ‘গোল্ডেন গ্লোভ’ জিতেছেন চেলসির রবার্ট সানচেজ, যিনি ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সেভ করে দলের শিরোপা নিশ্চিত করেছেন।

সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পিএসজির দেজিরে দুয়ে। এই তরুণ ডিফেন্ডারের গোটা আসরজুড়ে পারফরম্যান্স ছিল স্থির, নিখুঁত ও পরিণত মানসিকতার পরিচায়ক।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এসব পুরস্কার নির্ধারিত হয়েছে ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের ভোটে, যার নেতৃত্বে ছিলেন ফিফার চিফ অব গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট আর্সেন ওয়েঙ্গার।