ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যের কাছে বকেয়া টাকা চাওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত © টিডিসি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর গ্রামে এক ইউপি সদস্যদের কাছে মুদি দোকানের বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বিউটি বেগম ও তাঁর স্বামী কবির মিয়ার কাছে মুদি দোকানের ৩৩ হাজার টাকা পায়। এ পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় নারী সদস্য বিউটি বেগম ও স্বামী কবির হোসেন গতকাল রোববার দুপুরে  অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। নুর আলমের চিৎকারে তার আত্মীয় স্বজন ছুটে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন লোকজন আহত হয়েছে।

খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে। 

আহত নুর আলমের ছেলে সাব্বির আলম জানান, আমরা স্থানীয় মহিলা মেম্বার বিউটি বেগম ও তার স্বামী কবিরের কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা বকেয়া পাওনা। গতকাল শনিবার রাতে আমার বাবা মহিলা মেম্বার ও তাঁর স্বামী কবিরের কাছে বাকি টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর রোববার কবির ও তার লোকজন অতর্কিতে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে  আমার বাবা নুর আলম সহ দাদা আবদুর রাজ্জাক, দাদি নুরজাহান বেগম ও চাচি রুপা বেগম গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

অভিযুক্ত কবিরের স্ত্রী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি বেগম বলেন, আমি উভয় পক্ষকেই আপন মনে করি, যেহেতু আমি একজন জনপ্রতিনিধি। নুর আলম ও আমার স্বামী কবির বন্ধু ছিলেন। পূর্বে  নুর আলম ও তার চাচাত ভাইদের মাঝে একটি মাজার সংক্রান্ত বিরোধের বিচার করেন আমার স্বামী, সেই কারণেই তারা আমার স্বামী কবিরের ওপর ক্ষিপ্ত। সংঘর্ষে আমার দেবর সোহেল মিয়া ও সুমন আহমেদ রহমান আহত হয়ে বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমি চাই, এ ঘটনার একটি নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হোক।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেএনেছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোনো পক্ষই থানায় কোনো  লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।