বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীদের প্রথম ইন্টার্নশিপ শুরু

বিএডিসির সেচ উইং ভবনের সম্মেলনকক্ষে ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়
বিএডিসির সেচ উইং ভবনের সম্মেলনকক্ষে ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় © টিডিসি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের আওতায় বিএসসি ইন অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের দশমিক ৫৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রথম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) সিলেটে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সেচ উইং ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা।

প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি সিলেট অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রনজিত কুমার দেব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির টেকসই উন্নয়নে বিএডিসির ভূমিকা অপরিসীম। সেচ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, সেচ কাঠামোর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, কৃষকদের মধ্যে মানসম্পন্ন বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ—এই সবই বিএডিসির অন্যতম দায়িত্ব। সিলেট অঞ্চলে বিএডিসি বর্তমানে ধানক্ষেতে সোলার সেচ পাম্প স্থাপন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পানি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, এই ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কৃষি প্রকৌশলীরা মাঠপর্যায়ে কৃষিভিত্তিক প্রকল্পগুলো সরাসরি দেখার সুযোগ পাবে। যা তাদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএডিসি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু আহমেদ মাহমুদুল হাসান। ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সমন্বয়কারীদের মধ্যে ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান এবং উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সোহাগ মিয়া।

প্রথম দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান এবং ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রায়হানুল ইসলাম। তারা শিক্ষার্থীদের মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেন এবং বিএডিসির বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

এর আগে গত ৯ জুলাই বাকৃবি ক্যাম্পাসে ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, এই ব্যাচ দিয়েই কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ইন্টার্নশিপের যাত্রা শুরু হচ্ছে। তারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। মাঠপর্যায়ে গিয়ে তারা বুঝতে পারবে চার বছরে অর্জিত জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ কেমন হয়। একজন প্রকৌশলী হিসেবে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে কাজ করতে হলে পরিশ্রমী হতে হবে, মনোযোগী হতে হবে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি—তাদের প্রতিটি কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান জড়িয়ে রয়েছে।

দশমিক ৫৬ ব্যাচের এই ইন্টার্নশীপ প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। ব্যাচের মোট ৯৪ জন শিক্ষার্থী ৬টি গ্রুপে ভাগ এই প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন।  

সিলেটে শুরু হওয়া গ্রুপ-৩-এর শিক্ষার্থীরা প্রথম সাত দিন বিএডিসিতে ইন্টার্নশিপ করবেন। পরবর্তী এক সপ্তাহ তারা সিলেটে আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ইন্টার্নশিপ করবেন।