আত্মহত্যার ১ বছর আগে সুইসাইড নোট লিখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী

জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা
জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা © টিডিসি সম্পাদিত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা (২৩) নামের এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সরদারপাড়া এলাকার আপন লেডিস হোস্টেলের নিজ কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা।

এদিকে মৃত টুম্পার কক্ষ থেকে ২০২৪ সালের লেখা সুইসাইড নোট সম্বলিত একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোট সম্বলিত ডায়েরি লেখার ১ বছর পর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে নতুন করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের (২০২৪) লেখা ওই নোটে চারজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সুইসাইড নোটে টুম্পা তার মৃত্যুর জন্য ওই চারজনকে দায়ি করেছিলেন।’ 

এছাড়াও বাবা-মায়ের উদ্দেশে টুম্পা লেখেন, ‘আম্মা-আব্বা আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি আপনাদের ভালো মেয়ে হতে পারি নাই। আপনাদের মেয়ে অনেক কিছু সহ্য করছে। আমি বাঁচতে চাইছিলাম কিন্তু ওরা আমাকে বাঁচতে দেয় নাই। আমাকে আপনারা মাফ করে দিয়েন। ইতি আপনাদের মেয়ে টুম্পা।’

রংপুর মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, হোস্টেল কক্ষে দীর্ঘ সময় দরজা বন্ধ থাকার পর সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে রাতেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।