যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮২

 ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বিধ্বস্ত ভবন
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বিধ্বস্ত ভবন © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চল দেইর আল-বালায় ১০ শিশুসহ নিহত হয়েছেন ১৫ জন।

আল-জাজিরা বলছে, গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে এবং রাফাহতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন একসঙ্গে নিহত হন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে, শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। এদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী। এ হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য নিতে যাচ্ছে, তখন তাদের হত্যা করা একেবারেই অমানবিক।

আরও পড়ুন: যে স্কুলে গত বছর সবাই ফেল করেছিল, এবার সেখানে সবাই পাস

তিনি আরও বলেন, গাজায় মাসের পর মাস যথেষ্ট সাহায্য না পৌঁছানোর ফলে এখন শিশুরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘গাজায় গণহত্যার ধারাবাহিক অংশ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে স্কুল, রাস্তাঘাট, শরণার্থীশিবির ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এটি একটি পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের অংশ, যা বিশ্বের চোখের সামনে ঘটছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।