১৬ বছরের সর্বনিম্ন পাশের হার তবুও দেশ সেরা রাজশাহী
- ১১ জুলাই ২০২৫, ১৮:০৭
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় এবার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। গত ১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে গড়েছে সর্বনিম্ন পাশের হারের রেকর্ড। এবার বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর আগে ২০০৯ সালে বোর্ডে পাশের হার ছিলো ৫৮ দশমিক ১৩। এরপরই এবার সর্বনিম্ন পাশের হারের রেকর্ড গড়লো রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। তবে এতকিছুর পরও দেশ সেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। যদিও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, ফলাফলে খুশি তারা। তবে বিপর্যয় মানতে নারাজ অনেকে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তথ্য মতে, ২০০৯ সালে শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ছিলো ৫৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এরপর ২০১০ সালে পাশের হার হয় ৮৫ দশমিক ৩৮। ২০১১ সালে পাশের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৪৩। ২০১২ সালে পাশের হার ছিলো ৮৮ দশমিক ৩৩। ২০১৩ সালে পাশের হার ছিলো ৯৪ দশমিক ০২। ২০১৪ সালে পাশের হার ছিলো ৯৬ দশমিক ৩৩। ২০১৫ সালে পাশের হার ছিলো ৯৫ দশমিক ০২। ২০১৬ সালে পাশের হার ছিলো ৯৫ দশমিক ৭৬। ২০১৭ সালে পাশের হার ছিলো ৯০ দশমিক ৭২। ২০১৮ সালে পাশের হার ছিলো ৮৬ দশমিক ১০। ২০১৯ সালে পাশের হার ছিলো ৯১ দশমিক ৬৬। ২০২০ সালে পাশের হার ছিলো ৯০ দশমিক ৩৮। ২০২১ সালে পাশের হার ছিলো ৯৪ দশমিক ৭১। ২০২২ সালে পাশের হার ছিলো ৮৫ দশমিক ৮৭। ২০২৩ সালে পাশের হার ছিলো ৮৭ দশমিক ৮৮। সর্বশেষ গত বছর ২০২৪ সালে পাশের হার ছিলো ৮৯ দশমিক ২৫। এবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশে। যা গত ১৬ বছরের সর্বনিম্ন পাশের হার।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ. ন. ম মোফাখাখারুল ইসলাম বলেন, এবার যে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে এমনটি নয়। আমরা মান সম্মত ভাবে খাতা দেখেছি। যে যা পেয়েছে তাকেই তাই নম্বর প্রদান করা হয়েছে। আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত কথা আছে বোর্ড থেকে বলে দেয় বেশি নম্বর দিতে। এবার আমরা এমন কোন নির্দেশনা দেয় নি। আমাদের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ থেকেও সঠিক নম্বর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ৭৭ শতাংশ ছেলে মেয়ে পাশ করেছে। এটি ভালো একটি ফলাফলা। এটিকে বিপর্যয় বলা যাবে না। যদিও ১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে পাশের হারের। আবারো কম পাশের হার এসেছে। তারপরও আমার সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েছি। দেশ সেরাও হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশ সেরা হয়েছি। সাবার সাথে আনান্দ উল্লাস করেছি। এটি জন্য বোর্ডের কোন কৃতিত্ব নেই। এটির জন্য সব চেয়ে বেশি কৃতিত্ব আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। তারাই এই ফলাফল অর্জন করেছে। আমরা তাদের এই ফলে খুশি হয়েছি। আনান্দ করেছি।