বাসের চাকায় পিষ্ট জাবি শিক্ষার্থীর বাবা, ক্ষতিপূরণের দাবিতে ১০ বাস আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় © ফাইল ছবি

রাজধানীর বকশীবাজারে মৌমিতা পরিবহনের বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর বাবা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ১০টি বাস আটকে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

নিহত জহুরুল হক সেলিম (৫০) পাবনার ঈশ্বরদীর বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার রাতে বকশীবাজারে মৌমিতা পরিবহনের  দুটি বাসের মাঝে পড়ে পিষ্ট হয়। পরবর্তীতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সেলিমের ছেলে রিফাত বিন জুহুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারি মৌমিতা পরিবহনের ১০টি বাস আটক রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রিফাতের সহপাঠীরা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বকশীবাজার এলাকায় যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে রিফাতের বাবাকে চাপা দেয় মৌমিতা পরিবহনের বাস। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে একদল শিক্ষার্থী আজ বিকেলে মৌমিতা পরিবহনের বাসগুলো আটক করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান সায়েম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, রিফাতের বাবাকে মৌমিতা পরিবহনের বাস ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছে। রিফাতের একটি ১১ বছর বয়সী ছোট ভাই রয়েছে, যে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। মূলত তার চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরদী থেকে তার বাবা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। রিফাতের পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি তাঁর বাবা। তাঁকে এভাবে হত্যা করা হলো। এই পরিবারের দায়িত্ব এখন কে নেবে? আমরা চাই, মৌমিতা পরিবহন এই হত্যাকাণ্ডের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাসগুলো নিয়ে যাবে।’

মৌমিতা পরিবহনের লাইনম্যান সুমন ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। বাসের মালিকপক্ষ এসে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করবেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যাম্পাসের বাইরে। তবে তাঁর বন্ধুবান্ধবেরা আবেগের জায়গা থেকে বাসগুলো আটক করেছে। মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করব।’